পেটে করে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মো. মোস্তাফা (২৪) নামের এক যুবক। পেটের ভেতরে ইয়াবা মোড়ানো বেলুন ফেটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মোস্তাফা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হোয়াইক্যং চেকপোস্টসংলগ্ন গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে। জানা গেছে, বুধবার রাতে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে পাচারের উদ্দেশ্যে বেলুনে মুড়িয়ে ১৭ প্যাকেট ইয়াবা খান মোস্তাফা। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
এ সময় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াশ করে বের করা হয় ১২ প্যাকেট ইয়াবা। বাকি পাঁচ প্যাকেট পেটের ভেতরেই ফেটে যাওয়ায় সেগুলো আর বের করা সম্ভব হয়নি। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।
নিহতের মা আনোয়ারা বেগমের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুর রহমান বলেন, মোস্তাফা ইয়াবা সেবনের পর প্রথমে বাড়িতে কবিরাজ নেওয়া হয়। সেখানে ১২ প্যাকেট ইয়াবা বের করে। এরপর বিষক্রিয়ায় গড়াগড়ি করায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়।
কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়। ইয়াবার বিষক্রিয়ার কারণেই ছেলেটি মারা গেছে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ছেলেটির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার সময় পেটের ভেতর ইয়াবার পাঁচটি প্যাকেট পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইয়াবাগুলো গলে যাওয়ায় গণনা করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।